100 % DONATION POLICY
Signed in as:
filler@godaddy.com
100 % DONATION POLICY
Signed in as:
filler@godaddy.com

অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন অর্থনীতি ও ইসলামী অধ্যয়নের একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত ছিলেন, যিনি বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা , কুরআন গবেষণা এবং একাডেমিক নেতৃত্বে আজীবন নিবেদন করার জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত ছিলেন। কুরআনের নীতিমালা ও ইসলামী নৈতিক শিক্ষার আলোকে পরিচালিত হয়ে, তাঁর কাজ অর্থনৈতিক চিন্তাধারা ও ইসলামী বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যের মধ্যে সুসংগত সমন্বয় সাধন করে, যা বিশ্বাস, নৈতিকতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের আন্তঃসংযোগ সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। তাঁর গবেষণা ও নেতৃত্ব তাঁকে একজন দূরদর্শী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও জ্ঞানভক্ত সেবক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যিনি একাডেমিক উৎকর্ষ এবং আধ্যাত্মিক বোঝাপড়ার বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।

অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের শিক্ষাগত ভিত্তি অত্যন্ত সম্মানজনক ও বহুমুখী, যা তার বৌদ্ধিক গভীরতা এবং আন্তঃবিষয়ক বিস্তার উভয়ই প্রতিফলিত করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর অব আর্টস (অনার্স) এবং মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, যা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্থনীতিতে দৃঢ় ভিত্তি থাকা
অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের শিক্ষাগত ভিত্তি অত্যন্ত সম্মানজনক ও বহুমুখী, যা তার বৌদ্ধিক গভীরতা এবং আন্তঃবিষয়ক বিস্তার উভয়ই প্রতিফলিত করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর অব আর্টস (অনার্স) এবং মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, যা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্থনীতিতে দৃঢ় ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি ক্লাসিকাল ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন, যা ঢাকা আলিয়া মাদরাসা থেকে কুরআন শরিফে কামিল ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়।
শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রফেসর হোসেন অসাধারণ একাডেমিক প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল, আলিম ও ফাযিল পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করেন—যার জন্য তাকে স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও, মাধ্যমিক (এস.এস.সি.) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ.এস.সি.) পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তার একাডেমিক উৎকর্ষতা দেশের পর্যায়ে স্বীকৃত হয়।
আধুনিক অর্থনীতিতে কঠোর প্রশিক্ষণ এবং ক্লাসিকাল কুরআনিক শিক্ষার এই সমন্বয় প্রফেসর হোসেনকে একটি বিরল মিশ্রণ প্রদান করেছে, যা বিশ্লেষণাত্মক, নৈতিক এবং দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টি দ্বারা সমৃদ্ধ, এবং যা তার একাডেমিক ও পেশাগত অবদানকে অব্যাহতভাবে প্রভাবিত ও সমৃদ্ধ করছে।

অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন অর্থনীতি, শিক্ষা ও বৌদ্ধিক উন্নয়নের প্রতি গভীর আগ্রহ নিয়ে। তিনি কবরীহাট কলেজ এবং মুজিব কলেজে (১৯৭৯–১৯৮৩) অর্থনীতি বিভাগের লেকচারার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখানে তাঁর শিক্ষাদান ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য দ্রুত তাঁকে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান করা হয়। এই সময় তাঁর অর্থনীতির জ্
অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন অর্থনীতি, শিক্ষা ও বৌদ্ধিক উন্নয়নের প্রতি গভীর আগ্রহ নিয়ে। তিনি কবরীহাট কলেজ এবং মুজিব কলেজে (১৯৭৯–১৯৮৩) অর্থনীতি বিভাগের লেকচারার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখানে তাঁর শিক্ষাদান ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য দ্রুত তাঁকে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান করা হয়। এই সময় তাঁর অর্থনীতির জ্ঞান আরও গভীর হয় এবং তিনি যুব শিক্ষাবিদদের গড়ে তোলায়ও নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাখেন।
১৯৮৩ সালে, প্রফেসর হোসেন ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এই পদে যোগদান তাঁর পেশাজীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। ফাউন্ডেশনে তিনি একাডেমিক গবেষণা, ইসলামী শিক্ষা এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ফাউন্ডেশনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন, যেমন অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের উপ-পরিচালক এবং প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক। এই সময় তিনি বাংলাদেশের বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বই ও গবেষণাপত্রের অনুবাদ, প্রকাশনা এবং প্রচারে কাজ করেন।
তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশনের একাডেমিক জার্নাল ইসলামী ফাউন্ডেশন পত্রিকা এবং মাসিক প্রকাশনা অগ্রপথিক-এর সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে এই জার্নালগুলো হয়ে ওঠে শিক্ষাবিদ, গবেষক ও নীতি প্রণেতাদের জন্য আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
দৃষ্টিভঙ্গি ও নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রফেসর হোসেন উপ-পরিচালক এবং পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী পরিচালক হিসেবে নেতৃত্ব দেন। সততা, কৌশল ও শিক্ষার অগ্রগতির প্রতি তাঁর অটল প্রতিশ্রুতি ছিল তাঁর নেতৃত্বের মূল বৈশিষ্ট্য। ২০০৫ সালে অবসরের মাধ্যমে তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের সমাপ্তি টানেন।
অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শিক্ষা, ইসলামী গবেষণা এবং জনসেবায় তাঁর স্থায়ী অবদানকে তুলে ধরে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে
থাকবে।

অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ইসলামী শিক্ষা, গবেষণা ও একাডেমিক প্রকাশনায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। তার প্রকাশনার পরিধি মূল লেখা, অনুবাদ এবং সম্পাদিত গ্রন্থসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে। তাঁর শিক্ষাজীবন ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে এবং কুরআন অধ্যয়ন ও ইসলামী অর্থনীতির দর্শনের ক্ষেত্
অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ইসলামী শিক্ষা, গবেষণা ও একাডেমিক প্রকাশনায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। তার প্রকাশনার পরিধি মূল লেখা, অনুবাদ এবং সম্পাদিত গ্রন্থসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে। তাঁর শিক্ষাজীবন ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে এবং কুরআন অধ্যয়ন ও ইসলামী অর্থনীতির দর্শনের ক্ষেত্রে তিনি একজন প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর গবেষণা মানবজীবনের নৈতিক, সামাজিক ও বাস্তবিক দিকগুলিতে কুরআনের গভীর প্রভাবকে উদ্ভাসিত করে এবং ইসলামী নীতিগুলিকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে একীভূত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যা আধুনিক ইসলামী চিন্তাধারায় নতুন দিক উন্মোচন করে।
শিক্ষা ও গবেষণার বাইরে, প্রফেসর হোসাইন দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিক্ষাগত উদ্যোগেও নিবেদিত
ছিলেন। তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশন দ্বারা আয়োজিত ইমাম প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে প্রশিক্ষক হিসেবে, এবং ইসলামী ব্যাংকের অফিসার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে রিসোর্স পার্সন হিসেবে কাজ করেছেন, কুরআনের ব্যাখ্যা ও নৈতিক নেতৃত্ব বিষয়ে তার জ্ঞান শেয়ার করেছেন। তাঁর বিশদ জ্ঞান ও মধুর বাক্যশৈলী তাঁকে
বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ "বায়তুল মোকাররমে" একজন সম্মানিত বক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যেখানে তিনি নিয়মিত কুরআনের শিক্ষাগুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগের ওপর বক্তৃতা প্রদান করেছেন।
শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক সেবার প্রতি তাঁর গভীর প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, প্রফেসর হোসাইন প্রায় এক দশক ধরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি তাঁর নেতৃত্ব,
বাংলাদেশীসম্প্রদায়ের প্রতি নিবেদন এবং ইসলামী শিক্ষা ও দিকনির্দেশনার সাথে আজীবন সম্পৃক্ততার প্রমাণ।
[সময়: শুক্রবার ১০ ডিসসম্বর ২০২১ (মাগরিবের নামাজের পর), সন্ধ্যা ৬ঃটা ৩০ মিনিট. (প্রথম কয়েক মিনিট রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি) ]
প্রফেসর হোসাইন: তোমরা কার ইবাদত করবে ?
This website uses cookies. By continuing to use this site, you accept our use of cookies. For more information Click here.